বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় মৃত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করার সময় ফারুক নামে এক কসাইকে হাতেনাতে আটক করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় পৌরসভার মাংস বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
পরে মাংসসহ কসাইকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেনের কাছে হাজির করা হলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানায় সোপর্দ করেন।
পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ ছত্তারের ছেলে হানিফার একটি গর্ভবতী গাভী খুরাচাল রোগে আক্রান্ত হলে বাজারের মাংস বিক্রেতাদের কাছে গরুটি ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। পরে রোববার দিবাগত রাতে অসুস্থ গরুটি ভ্যানগাড়িতে করে নেওয়ার পথে মারা যায়। পরে গরুটি জবাই করে আজ সোমবার সকালে বাজারে ৪৫০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করেন।
গরুটি মারা যাওয়ার বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শীরা মেয়রকে অবহিত করেন। এরপর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন তার অফিসের কর্মচারীদের দিয়ে মাংসসহ ফারুককে আটক করেন।
কসাই ফারুক ঘটনা স্বীকার করে জানান, তার ব্যবসায়িক সহযোগী সোহাগ ও ইউনুচের বুদ্ধিতে এ অসৎ কাজটি করেছেন।
এদিকে মরা গরুর মাংস বিক্রির বিষয়টি পৌরসভা থেকে শহরে মাইকিং করে দেয়ার পর কমপক্ষে ৩০টি পরিবার রান্না করা মাংস পৌরসভায় জমা দিয়েছেন।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোসাফফর হোসেন বাবুল জানান, তিনিও ২ কেজি মরা গরুর মাংস কিনে রান্না করেছিলেন। পরে পৌরসভার মাইকিং শুনে কুকুরকে দিয়েছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন জানান, মাংস বিক্রেতা যে অপরাধ করছে তাতে অল্প সাজায় মাফ করা যায় না। ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা কম। এ কারণে রেগুলার মামলার জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply